হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর উপকারিতা – হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর ব্যবহারের নিয়ম

হিমালয়া নিম ফেসওয়াস এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন। হিমালয়া নিম ফেসওয়াস ত্বকের জন্য খুবই ভালো। এই আর্টিকেলে হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর উপকারিতা,হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর ব্যবহারের নিয়ম এবং আসল হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ চেনার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর উপকারিতা

হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ব্যবহার করার পূর্বে আর্টিকেলটি দেখে নিন। চলুন আমরা দেরি না করে তাড়াতাড়ি দেখে আসি হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর উপকারিতা ,হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর ব্যবহারের নিয়ম, আসল হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ চেনার উপায় গুলো।

হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর উপকারিতা

হিমালয়া নিম ফেসওয়াস হল একটি হারবাল স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট। এটি মূলত ভারতের বিখ্যাত হিমালায়া ব্র্যান্ড দ্বারা পরিচালিত হয়  এই হিমালয়া নিম ফেসওয়াশের প্রধান উপাদান হলো নিম। নিমের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যা ব্রণ দুর করতে সাহায্য করবে এবং তৈলাক্ত স্কিনের সমস্যা দূর করবে পাশাপাশি ত্বককে ভেতর থেকে ফর্সা করতে সাহায্য করবে। আপনি যদি হিমালয়া নিম ফেসওয়াস এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে নিচে দেখুন ১০ টি উপকারিতা দেওয়া রয়েছে।

  • হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ত্বকের ভেতর থেকে গভীরভাবে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। 
  • হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে ত্বকের ওপর থেকে লাল লাল ফুসকুড়ি  এবং রেশ কমে যায়।
  • হিমালয়া নিম ফেসওয়াস ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। 
  • হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ত্বকের ভেতর থেকে ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেড দূর করতে সাহায্য করে। হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে এটি ত্বকের PH এর  মানকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
  • নিয়মিত হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে ত্বকের বড় বড় ছিদ্রগুলো বন্ধ হয়ে যাবে এবং ত্বক অনেক বেশি গ্লোয়িং হবে 
  • হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে ত্বক ঠান্ডা থাকে এবং নিম ওভেটিভার এর ঠান্ডা প্রকৃতি।ত্বকে শীতলতা এনে দেয়।
  • হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে ত্বক থেকে ব্রণের সমস্যা দূর হবে। হিমালয়া নিম ফেসওয়াস থেকে প্রচুর পরিমাণে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান পাওয়া যায় যা ব্রণ এবং ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে।
  • হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকে। 
  • হিমালয়া নিউ ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে ত্বক আরো মসৃণ হয়। 
  • হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়।
আরও পড়ুন:  তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ময়েশ্চারাইজার ভালো - ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম

হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে ওপরের এই সকল প্রকার গুলো লাভ করতে পারবেন আশা করছি বুঝতে পেরেছেন হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর উপকারিতা গুলো। এবার দেখে নেওয়া যাক হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ব্যবহারের নিয়ম। 

হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ব্যবহারের নিয়ম 

হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ব্যবহারের নিয়ম খুবই সহজ। যারা ত্বকে হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে চাচ্ছেন তারা নিচে দেখে নিন এর ব্যবহার প্রণালী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া রয়েছে আপনারা যদি এই নিয়মে হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ব্যবহার করেন তাহলে আশা করছি ভালো ফলাফল লাভ করতে পারবেন। 

  • হিমালয় নিম ফেস ওয়াস ব্যবহার করার আগে হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। 
  • হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ব্যবহার করার আগে মুখ ভিজিয়ে নিন।
  • এক হাতে তালুতে অল্প পরিমাণে হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ নিতে হবে। 
  • তারপর দুই হাতে সাহায্যে হালকা ঘসে ফেনা তৈরি করুন। 
  • এবার হিমালয়া ডিম ফেসওয়াশ দুই হাতে সাহায্য নিয়ে সম্পূর্ণ মুখে খুব সুন্দর ভাবে ধীরে ধীরে মাসাজ করুন।
  • কপাল নাক গাল থুতনি সব থেকে সুন্দর ভাবে মাসাজ করা হয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। 
  • এবার পাতলা একটি তোয়ালের সাহায্যে মুখ হালকা চাপ দিয়ে মুছে ফেলুন।
  • তারপর একটি ভালো মানের টোনার সাথেই মশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। 

এই নিয়ম অনুসরণ করে হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল লাভ করতে পারবেন আশা করছি বুঝতে পেরেছেন হিমালয়া নিম ফেসওয়াস কিভাবে ব্যবহার করতে হয়। নিচে দেখুন হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে। 

হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া 

হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ব্যবহার করার পরে একদিকে যেমন উপকার পাওয়া যায় আর একদিকে ত্বকের ক্ষতিও হতে পারে। যাদের ত্বক অনেক বেশি সেনসিটিভ তারা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ত্বকে হিমালয়া ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারবেন না।

এছাড়াও ত্বকে যদি অতিরিক্ত তেল উৎপন্ন হয় তাহলে হিমালয়া ফেসওয়াশ ব্যবহার না করাই ভালো কারণ অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বকে হিমালায়া নিম ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে এতে ব্রণের সমস্যা আরো বেড়ে যায়। ড্রাই স্কিনের জন্য হিমালয় নিম ফেসওয়াস খুবই উপকারী নিচে দেখুন হিমালয়া নিম ফেস ওয়াস এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে। 

  • হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে তখন অনেক বেশি টানটান হয়ে যায় যার ফলে ত্বক ফেটে যেতে পারে।
  • ত্বকে অতিরিক্ত হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে ত্বক ব্রণের সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে।
  • হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ব্যবহার করার ফলে ত্বকে এলার্জির সমস্যা তৈরি হয়।
  • হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের চামড়া পুড়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন:  তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ময়েশ্চারাইজার ভালো - ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম

হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহার করতে থাকলে ওপরের এই সকল সমস্যাগুলো দেখা দিবে তাই যদি হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ব্যবহার করার ফলে তাতে কোন রকম সমস্যা দেখা দেয় তাহলে এই ফেসওয়াশ ব্যবহার করা বন্ধ করে দিতে হবে। 

আসল হিমালায়া নিম ফেসওয়াশ চেনার উপায়

আসল হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ কিভাবে চিনবেন কারণ বর্তমান সময়ে বাজারে আসল প্রোডাক্ট এর পাশাপাশি অনেক নকল প্রোডাক্ট রয়েছে। নকল প্রোডাক্ট ত্বকে ব্যবহার করবে কোন উপকার তো পাওয়াই যায় না বরং আরো ত্বকের ক্ষতি হয় তাই জানতে হবে আসল হিমালয়া নিম ফেসওয়াস চেনার উপায় গুলো কি কি।

  • হিমালায়া নিম ফেসওয়াশ চেনার জন্য প্রথমে কিংবা বোতল কোয়ালিটি দেখুন। আসল হিমালয়া নিম ফেসওয়াস এর টিউব কিংবা বোতল অনেক বেশি নিখুত এবং শক্ত হবে।
  • আসল হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এ লেখা থাকবেন মেড ইন ইন্ডিয়া। কারণ এটি একটি ইন্ডিয়ান প্রোডাক্ট।
  • আসল যে হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ রয়েছে এই ফেসওয়াশের রং অনেকটা হালকা সবুজ হবে।
  • আসল হিমালয়ের নিম ফেসওয়াশ এর লেখাগুলো হবে অনেক বেশি স্পষ্ট।
  • হিমালয়ের নিম ফেসওয়াশ এর গায়ে কোম্পানির কাস্টমার কেয়ার নাম্বার দেওয়া থাকবে।
  • হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ বারকোড এর সাহায্যে স্ক্যান করে চেক করা যাবে।

আশা করছি বুঝতে পেরেছেন আসল হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ কিভাবে চিনতে হবে ওপরের এই নিয়মগুলো অনুসরণ করলে আসল হিমালয়া নিম ফেসওয়াস চিনতে পারবেন। এবার চলুন দেখে আসি হিমালয়া নিম ফেসওয়াস এর দাম। 

হিমালয়া নিম ফেসওয়াস এর দাম 

হিমালয় নিম ফেসওয়াশ এর দাম কত?? বাজারে ভিন্ন ভিন্নতা আমি হিমালয়ের নিম ফেসওয়াশ পাওয়া যায় আসল হিমালয়া 50 গ্রাম নিম ফেসওয়াশ এর দাম হচ্ছে ১৫০ টাকা। আর ৩০ গ্রাম হিমালয় নিম ফেসওয়াস এর দাম হচ্ছে ৮০ টাকা।

বাজারে আসল প্রোডাক্ট এর পাশাপাশি নকল প্রোডাক্ট পাওয়া যায় নকল প্রোডাক্টের দাম একটু কম ৫০ গ্রাম হিমালয়ের নিম ফেসওয়াস এর দাম হচ্ছে ১০০ টাকা ( নকল প্রোডাক্ট) । ৩০ গ্রাম নকল হিমালয়া নিম ফেসওয়াস এর দাম হচ্ছে ৪০ টাকা।

আরও পড়ুন:  তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ময়েশ্চারাইজার ভালো - ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম

হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ছেলেদের জন্য ব্যবহার উপযোগী?

হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ছেলেদের জন্য ব্যবহার উপযোগী। ছেলেরা চাইলে এই ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারবে এই ফেসওয়াশ ছেলে এবং মেয়ে প্রত্যেকে ব্যবহার করতে পারবে এই ফেসওয়াশ হয়েছে প্রচুর পরিমাণে নিম যা ত্বক থেকে ব্রণের সমস্যাকে দূর করে ব্যাকটেরিয়াল সমস্যা কে দূর করে এবং ত্বকের ভেতর থেকে ময়লা দূর করে ত্বকে উজ্জ্বল ফর্সা করতে সাহায্য করে। 

তবে ছেলেদের জন্য আরও বিভিন্ন ফেসওয়াশ রয়েছে আপনি চাইলে আরো অন্যান্য ফেসওয়াস ব্যবহার করে দেখতে পারেন। তবে যদি ত্বকে অনেক বেশি ব্রণের সমস্যা থাকে তাহলে নিম ফেসওয়াস ব্যবহার করতে পারবেন। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ছেলেদের জন্য ব্যাবহার উপযোগী নাকি? 

আমাদের শেষ কথা

এই আর্টিকেলে হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর উপকারিতা, হিমালায়া নিম ফেসওয়াশ এর ব্যবহারের নিয়ম, হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ছেলেদের, হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, হিমালায়া নিম ফেসওয়াশ এর দাম কত, আসল হিমালায়া নিম ফেসওয়াশ চেনার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। 

যারা হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে ভালোবাসেন তারা একবার এই আর্টিকেটে দেখে নিন কিভাবে নিম ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে হয়। উক্ত নিয়মে ব্যবহার করলে এর পরিপূর্ণ উপকার লাভ করা সম্ভব সাথে আর্টিকেলের আরো আলোচনা করা হয়েছে যে অতিরিক্ত হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে কি কি ক্ষতি হতে পারে। 

আশা করছি যারা জানতে চেয়েছিলেন যে হিমালয় ইয়া নিম ফেসওয়াস এর উপকারিতা গুলো কি কি তারা প্রত্যেকেই এর উপকার এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এমন দুর্দান্ত আরো পোস্ট পেতে নিয়মিত এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

Leave a Comment