এআই এর অতিরিক্ত ব্যবহারে মানুষের কি হতে পারে

এআই এর অতিরিক্ত ব্যবহারে মানুষের কি হতে পারে? মানুষের অতিরিক্ত ai ব্যবহার করার ফলে পরিবেশের ওপর মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব পড়তে পারে সাথে শারীরিক সমস্যা তৈরি হতে পারে এবং কর্মসংস্থানের সংকট তৈরি হতে পারে। চলুন আমরা দেখে আসি এআই এর অতিরিক্ত ব্যবহারে মানুষের কি ক্ষতি হতে পারে এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর খারাপ দিক কি।

এআই এর অতিরিক্ত ব্যবহারে মানুষের কি হতে পারে

আপনি যদি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর খারাপ দিক সম্পর্কে জানতে চান তাহলে নিচে দেখুন এআই এর অতিরিক্ত ব্যবহারে মানুষের কি হতে পারে এবং এআই এর অতিরিক্ত ব্যবহারে মানুষের কি ক্ষতি হতে পারে দেওয়া রয়েছে।

ভূমিকা

বর্তমান সময়ে এরাই সম্পর্কে আমরা প্রত্যেকেই জানি এখন মানুষের জীবনকে অনেক বেশি আরামদায়ক করে তুলেছে ai ব্যবহার করে খুব সহজেই যেকোনো কাজ অল্প সময়ের মধ্যে করা যায়। এখন বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা এই আইয়ের উপর নির্ভর হয়ে পড়ছে যে কোন কাজের জন্য তারাai  ব্যবহার করছে। ai মানুষের সৃজনশীলতার দক্ষতাকে নষ্ট করে ফেলছে। Ai মানুষকে আরো বেশি অলস করে তুলছে মানুষের মধ্যে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা তৈরি করছে।

এটি মানুষকে যন্ত্র নির্ভর করে তুলছে আমরা অনেক বেশি যন্ত্রের উপর নির্ভর করে ফেলছি আগে আমরা একটি পিকচার এডিট করার প্রয়োজন থাকলে কিংবা একটি ভিডিও এডিট করার প্রয়োজন থাকলে আমরা নিজের হাতে বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে পিকচার কিংবা ভিডিওগুলো এডিট করতাম কিন্তু এখন বর্তমান সময়ে ai ব্যবহার করে খুব সহজেই যেকোনো পিকচার যেকোনো ভিডিও এডিট করা যায়।

যে কোন অ্যানিমেশন ভিডিও তৈরি করা যায় যার কারণে এখন মানুষ অনেক বেশি এআই নির্ভর হয়ে পড়ছে। যদি মানুষ ai অতিরিক্ত ব্যবহার করতে শুরু করে তাহলে এটি আমাদের সমাজের জন্য হুমকি স্বরূপ হয়ে উঠতে পারে আসুন আমরা দেখে এআই এর অতিরিক্ত ব্যবহারে মানুষের কি হতে পারে।

এআই এর অতিরিক্ত ব্যবহারে মানুষের কি হতে পারে

অতিরিক্ত এআই ব্যবহার করার ফলে মানুষ অলস হয়ে পড়তে পারে অনেক সময় ব্যবহার করে ভুল তথ্য প্রচার হয় আবার কর্মসংস্থান কমতে শুরু করে। ai এর ফুল ফর্ম হল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কে ব্যবহার করে খুব সহজে এখন যে কোন কাজকর্ম করা যায় অনলাইন সম্পর্কিত যেকোনো কাজকাম মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে আপনি সম্পন্ন করতে পারবেন।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কে ব্যবহার করে এটি ২৪ ঘন্টায় কাজ করে এবং যেকোনো বিষয়ে আপনাকে সাহায্য করবে। এর মাধ্যমে সহজে ডিজাইন করতে পারবেন সহজেই যেকোনো পণ্য কিংবা সফটওয়্যার তৈরি করতে পারবেন যেকোনো ব্লগ আর্টিকেল লিখতে পারবেন এর কারনে এখন বেশিরভাগ মানুষ অনেক বেশি অলস হয়ে পড়েছে এবং প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়েছে। 

  • অতিরিক্ত এআই অথবা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করলে মানুষ অলস হয়ে পড়ে। 
  • মানুষ তা নিজের কর্মসংস্থান হারিয়ে ফেলছে। 
  • ফ্রিল্যান্সারদের দাম কমে যাচ্ছে। 
  • শিক্ষকদের গুরুত্ব কমে যাচ্ছে। 
  • গুগলের ব্লগারদের রেঙ্কিং নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। 
  • ডিপ ফেক ভিডিওর মাধ্যমে প্রতারণা এবং মানুষের নামে বদনাম বেশি বেড়ে যাচ্ছে।
  • মানুষের গোপন ডাটা চুরি হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে। 
  • এয়াই মানুষকে প্রযুক্তি নির্ভর করে তুলছে। 
  • এ আই মানুষের চিন্তাশক্তিকে নষ্ট করে ফেলছে। 

অতিরিক্ত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করার ফলে উপরের এই ক্ষতিগুলো হচ্ছে বর্তমান সময়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর কারণে ফ্রিল্যান্সাররা সবচেয়ে বেশি ক্ষতি স্বীকার হচ্ছে এখন গুগলের চাহিদা অনেক বেশি কমে গেছে যার কারণে এখনো ফ্রিল্যান্সারদের বেতন কম হচ্ছে আবার অনেক ফ্রিল্যান্সাররা আজ কাজে হারিয়ে বেকার ঘরে বসে রয়েছে। অতএব অতিরিক্ত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করার ফলে সমাজে বেকারত্বের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। 

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কাকে বলে 

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স হল পেতেন বুদ্ধি মাতা এটি এমন এক ধরনের যন্ত্র কিংবা সফটওয়্যার যা আপনাকে বুদ্ধিমত কাজ করবে আপনাকে যে কোন সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করবে এটি আপনাকে মানুষের মতো চিন্তা করতে সাহায্য করবে এটি আপনার যে কোন কাজ কাম আরো সহজে এবং আরামে করে দিতে সাহায্য করবে। 

যেকোনো কাজ যা করতে আপনার এক ঘণ্টা মতে সময় লাগবে সেই কাজ আপনি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে সম্পন্ন করতে পারবেন এখন এ আই মানুষকে সফলতার ঊর্ধ্বে নিয়ে গেছে এই ব্যবহার করে খুব সহজে যে কোন ঝামেলা ছাড়াই কাজকাম সম্পন্ন করা যায় তবে এই অতিরিক্ত ব্যবহার করার ফলে বর্তমান সময়ে সামাজিক কিছু ক্ষতিও হচ্ছে এবং ধারণা করা যায় প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়বে এবং মানুষ তার নিজের সৃজনশীলতা নিজের বুদ্ধি হারিয়ে ফেলবে ও প্রযুক্তির উপর সর্বদা নির্ভর করে থাকবে। 

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর খারাপ দিক

আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স এর খারাপ দিক- আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর বহু খারাপ দিক রয়েছে। আশা করছি ইতিমধ্যে আপনারা হালকা বুঝতে পেরেছেন যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বর্তমান সময়ে সমাজে কতটা খারাপ প্রভাব বিস্তার করেছে অতিরিক্ত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে মানুষ এখন অলস হয়ে পড়েছে মানুষ এর মধ্যে বেকারত্বের সংখ্যা বাড়তে চলেছে মানুষের মধ্যে মানসিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। 

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স মানুষের সৃজনশীল ক্ষমতাকে নষ্ট করছে এবং যান্ত্রিক নির্ভর করে চলছে। যে কোন ব্যক্তি তাকে ইন্টারভিউ দেওয়ার আগে খুব সহজেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে একজন অযোগ্য প্রার্থী ও চাকরি পেয়ে যাচ্ছে আবার আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে অনেকেই মানুষের ছবি ব্যবহার করে বিভিন্ন ভিডিও তৈরি করছে আবার কন্ঠ নকল করে বিভিন্ন ভিডিও তৈরি করে মানুষকে বদনাম করার চেষ্টা করছে। 

বর্তমান সময়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে মানুষের মধ্যে এমন ঝামেলা সৃষ্টি হয়েছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে অনেক অনৈতিক ছবি বানানো হচ্ছে পর্নোগ্রাফি ছবি বানানো হচ্ছে যা সমাজকে নষ্ট করছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে আসল এবং নবোদের মধ্যে পার্থক্য বোঝা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে এই শাব্দে বিবেচনা করে দেখলে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সমাজের জন্য এবং আমাদের জন্য খুবই মারাত্মক হতে চলেছে পরবর্তী সময়ে এটি প্রভাব আরো বেশি প্রযুক্তির উপর নির্ভর হয়ে পড়বে এবং নিজের সৃজনশীলতার দক্ষতাকে হারিয়ে ফেলবে।

এআই এর অতিরিক্ত ব্যবহারে মানুষের কি ক্ষতি হতে পারে 

ইতিমধ্যে আশা করছি প্রত্যেকে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে মানুষের কি ক্ষতি হতে পারে?  এ আই অতিরিক্ত ব্যবহার করার ফলে সমাজে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে সমাজে বেকারত্বের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে এবং এটি মানুষের সৃজনশীলতার দক্ষ থেকে নষ্ট করে ফেলছে এটি মানুষের গোপন তথ্য চুরি করে মানুষকে হ্যারেজমেন্টের স্বীকার করছে এটি আমাদের কাজ-কাম অনেক বেশি সহজ করে তোলেও এটি আমাদের সমাজের জন্য খুবই ক্ষতিকর। 

এখন খুব সহজে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে যে কোন সফটওয়্যার অ্যাপস, ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়। আগে ওয়েব ডেভলপমেন্ট অনেক বেশি চাহিদা সম্পন্ন একটি কাজই ছিল প্রতিটি ফ্রিল্যান্স ছাড়া এই ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করে খুব সহজেই প্রতিমাসে ভালো ইনকাম করতে কিন্তু বর্তমান সময়ে এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে যে কোন ব্যক্তি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলছে অতএব মানুষের কাছে এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে যে কোন কাজ অনেক বেশি সহজ হয়ে গিয়েছে।

এতে ওয়েব ডেভেলপারদের বহু ক্ষতি হচ্ছে অর্থাৎ তারা আর আগের মত কাজ পাচ্ছে না এমন কি বলা যায় যে তারা তাদের কর্মসংস্থান হারিয়ে ফেলেছে এভাবেই বহু ফ্রিল্যান্সাররা নিজেদের কর্মসংস্থান হারিয়ে ফেলেছে এখন হাজার হাজার ব্লগাররা ওয়েবসাইটে ভালো পোস্ট লেখার পরেও র‍্যাংকিং এ থাকতে পারছে না কিন্তু এই আই এর পোস্টগুলো থাকছে।

এর কারণে হাজার হাজার ব্লগার এখন কাজ ছেড়ে দিয়ে বাসায় বেকার বসে রয়েছে সব দিক বিবেচনা করে দেখলে আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স আমাদের সমাজকে আনান দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করছে একদিকে এটি আমাদের বুদ্ধিমানা থেকে নষ্ট করছে আরেক দিকে এটি আমাদেরকে যান্ত্রিক নির্ভর করে তুলছে। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন যে অতিরিক্ত এই আইয়ের ব্যবহার মানুষের কি কি ক্ষতি করতে পারে। 

আমাদের শেষ কথা 

আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করলাম যে এআই এর অতিরিক্ত ব্যবহারে মানুষের কি হতে পারে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স কাকে বলে এআই এর অতিরিক্ত ব্যবহারে মানুষের কি ক্ষতি হতে পারে এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর খারাপ দিক গুলো কি কি। বর্তমান সময়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সম্পর্কে আমরা প্রত্যেকেই জানি এখন এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কে ব্যবহার করে আপনি যেকোনো ভিডিও তৈরি করতে পারবেন।

যে কোন লোগো এডিট করতে পারবেন যেকোন টি শার্ট এডিট করতে পারবেন যে কোন পিকচার ব্যবহার করে আপনার ভিডিও তৈরি করতে পারবেন কনফিউশন নকল করতে পারবেন অর্থাৎ এক কথায় এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে আপনারা যে কোন কাজ করতে পারবেন। আর এই আর্টিকেল ইন্টালিজেন্স চব্বিশ ঘন্টাই সক্রিয় থাকে অতএব এটি যেমন একদিকে আমাদের জন্য খুবই উপকারী আমাদের জীবনকে অনেক বেশি আরামদায় করে দিয়েছে আমাদের কাজকাম সহজ 

Leave a Comment