মানুষের শরীরের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে তার দাঁত। দাঁতে আমরা যাবতীয় খাবার গুলো খেয়ে থাকি। শুধু তাই নয় দাঁত আমাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে। দাত যদি সাদা ঝকঝকে উজ্জ্বল না হয় তাহলে তার মুখের হাসি ভালো লাগে না। এমনকি মন খুলে হাসাও যায় না।
কিন্তু অনেকেই অবহেলায় অযত্নে দাঁতগুলো নষ্ট করে ফেলতেছে। অনেকেরই দাঁতের ওপরে কালো ও হলুদ বর্ণের আবরণ দেখা যায়। তাই অনেকেই এই ধরণের দাঁত নিয়ে অস্বস্তির মধ্যে পড়ে।আজকে আমরা জানতে চলেছি দাঁতের হলুদ ভাব দূর করব কিভাবে। আজ আমি আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে দাতের হলুদ ভাব দূর করার ঘরোয়া উপায় নিয়ে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।
এছাড়ও দাঁতের কালো দাগ দূর করার উপায়, দাতে হলুদ দাগ কেন হয়, দাঁতের পাথর দূর করার উপায়, দাঁতে কেন পাথর জমে, এবং কাদের এই সমস্যাগুলো বেশি দেখা দেয় ইত্যাদি। তাই এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে ধৈর্য সহকারে আমার এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
দাঁত হলুদ হওয়ার কারণ
দাঁত হলুদ হলে করণীয় কি বা ঘরোয়া উপায় গুলো জেনে নেওয়ার আগে জানবো কি কি কারনে দাঁতের রং হলুদ হয়ে যায়। তাহলে আসুন দেরি না করে জেনে নেয়া যাক।
দাঁত হলুদে হওয়ার কয়েকটি সাধারণ কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো:
১। খাবার ও পানীয়:
চা, কফি, রেড ওয়াইন, এবং কিছু ফল (যেমন: পেয়ারা, কমলা) নিয়মিত খেলে দাঁতে হলুদ ছোপ বা দাগ পড়তে পারে।
২। তামাক ব্যবহার:
তামাক বা ধূমপান করলে দাঁতে হলুদ বা বাদামী রঙের দাগ পড়ে।
৩। ডেন্টাল এনামেল ক্ষয়:
দাঁতের এনামেল ক্ষয়ে গেলে দাঁত হলুদ দেখায়। এনামেল হল দাঁতের বাইরের শক্ত স্তর, যা দাঁতকে রক্ষা করে।
৪। স্বাস্থ্যগত সমস্যা:
কিছু স্বাস্থ্যগত সমস্যা যেমন: লিভারের রোগ, ক্যালসিয়ামের অভাব, বা কিছু নির্দিষ্ট ওষুধের কারণেও দাঁত বিবর্ণ হতে পারে।
৫। খাদ্য অভ্যাস:
চিনিযুক্ত খাবার ও পানীয় বেশি খেলে দাঁত হলুদ হতে পারে।
৬। বয়স:
স্বাভাবিকভাবে, বয়সের সাথে সাথে দাঁতের এনামেল ক্ষয়ে যেতে পারে, ফলে দাঁত হলুদে দেখায়।
আরও কিছু কারণ নিচে আলোচনা করা হলো:
১। অ্যান্টিবায়োটিক:
কিছু অ্যান্টিবায়োটিক দাঁতের এনামেলকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, ফলে দাঁত হলুদে দেখায়।
২। ক্যালসিয়ামের অভাব:
শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব হলে দাঁতের গঠন দুর্বল হয়ে যায় এবং দাঁত হলুদে দেখায়।
৩। খাদ্যাভ্যাসের ব্যাধি:
কোনো নির্দিষ্ট খাবার বা পানীয় বেশি পরিমাণে গ্রহণ করলে দাঁতে দাগ পড়তে পারে।
৪। ডেন্টাল ট্রিটমেন্ট:
দাঁতের কিছু চিকিৎসা যেমন: রুট ক্যানাল বা অন্যান্য চিকিৎসার পর দাঁত বিবর্ণ হতে পারে।
দাঁত হলুদে হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা। এর জন্য বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা এবং ঘরোয়া উপায় রয়েছে। আপনি যদি এই সমস্যা নিয়ে চিন্তিত হন, তবে একজন ডেন্টিস্টের সাথে পরামর্শ করা উচিত। নিয়মিত ধূমপান করার কারণে ও দাঁতের রং বদলে হলুদ কালচে হয়ে যেতে পারে।
কারণ সিগারেটের রয়েছে নিকোটিন যা দাঁত কালচে এবং হলুদ করে থাকে। তাই দাঁত ভালো রাখতে ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের রং যুক্ত খাবার খাওয়ার পর যদি দ্রুত দাঁত ব্রাশ না করি তাহলে দাঁতের কালার নষ্ট হয়ে যেতে পারে
আপনি যদি নিয়মিত কফি চা ও সোডা যুক্ত কোমল পানীয় নিয়মিত খান তাহলে দাঁতের রং বদলে যেতে পারে। তাই দতের সুরক্ষায় এগুলো নিয়মিত না খাওয়াই ভালো। অতিরিক্ত মিষ্টি যুক্ত খাবার খেলে দাঁতে পোকা লাগতে পারে এবং দাঁত নষ্ট হতে পারে।
দাঁতের হলদে ভাব দূর করার ঘরোয়া উপায়
১। ব্রেকিং সোডা
দাঁতের হলদে ভাব দূর করার একটি অন্যতম ঘরোয়া উপায় হচ্ছে ব্রেকিং সোডা। এই ব্রেকিং সোডা কে সোডিয়াম বাই কার্বনেট বলা হযে থাকে। এটা দাঁতের উপরে থাকা হলুদ আবরণ কে দূর করার পাশাপাশি কালো দাগ দূর করে দাঁতের আসল উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে।
২। তুলসী পাতা
তুলসী পাতা দাঁতের হলদে ভাব দূর করতে খুবই কার্যকারী একটি উপাদান। প্রথমে তুলসী পাতা শুকিয়ে গুড়ো করে অথবা কাঁচা তুলসী পাতা তুলে ব্লেন্ড করে সরিষার তেলের সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ব্রাশ করলে কালচে ও হলদে দাগগুলো উঠে যাই এবং দাঁত হয় ঝকঝকে সাদা।
৩। নিমের ডাল
আমরা নিমের ঔষধি গুনাগুনের কথা সবাই কমবেশি জানি। এই নিম গাছের ডাল মেসওয়াক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই নিম ডাল দিয়ে প্রতিদিন মেসওয়াক করলে দাঁতকে সাদা করার পাশাপাশি দাঁতের বিভিন্ন রকম রোগ জীবাণু দূর করে। যেমন তাদের গুড়া দিয়ে রক্ত পড়া, দাঁতের শির শিরানি বন্ধ করে এবং দাতকে শক্ত ও মজবুত করে।
৪। কলা ও লেবুর খোসা
পাকা কলার খোসা ও লেবুর খোসার ভিতরের অংশ দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে দাঁতের উপরের ভাগের হলদে ভাব দূর হয়। এছাড়াও আপনি ব্রাশের মধ্যে লেবুর কয়েক ফোটা রস এবং সামান্য পরিমাণ লবণ নিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের হলদে ভাব দূর করার পাশাপাশি দাঁত ঝকঝকে ও মজবুত করে তোলে।
৫। নারিকেল তেল
দাঁতের হলুদ ভাব দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম কার্যকারী উপাদান হলো নারিকেল তেল। এই প্রাকৃতিক উপাদানটি মুখের স্বাস্থ্য রক্ষা ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ব্রাশের সাথে কয়েকটা নারিকেলের তেল নিয়ে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের হলদে ভাব দূর করে এবং দাঁত ঝকঝকে উজ্জল ও মজবুত হয়। কারণ এর ভিতর রয়েছে বিভিন্ন অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান।
৬। অয়েল পুলিং
অয়েল পুলিং হল নারিকেল তেল দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করার আরেকটি অন্যতম কার্যকার পদ্ধতি। পানির সাথে কয়েকটা মাউথওয়াশ দিয়ে যেমন আমরা কুলকুচি করি ঠিক একই ভাবে পানির সাথে কয়েক ফোটা নারিকেল তেল নিয়ে কুলকুচি করাকে অয়েল কুলিং বলা হয়। এটা নিয়মিতভাবে দিনে দুই থেকে তিনবার করলে দাঁতের হলদে ভাব দূর করার পাশাপাশি দাঁতের বিভিন্ন রোগবালাই দূর হয়।
৭। লবণ
দাঁতের হলুদ ভাব দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম এবং সহজলভ্য উপাদান হচ্ছে লবণ। কারণ লবণে থাকে সোডিয়াম ক্লোরাইড যা দাঁতের হলদে ভাব দূর করার পাশাপাশি দাঁতের পুষ্টি উপাদান ঠিক রাখতেও সাহায্য করে। তাই নিয়মিতভাবে লবণ দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁতের হলদে ভাব দূর করে এবং দাঁতের বিভিন্ন রোগ বালাই থেকে মুক্তি দেয়া। এখন অনেক কোম্পানি বর্তমানে বিভিন্ন পেস্টের সঙ্গে লবণ ব্যবহার করে থাকে।
৮। গ্রিন টি
গ্রিন টি ব্যবহার করেও দাঁতের হলদে ভাব দূর করা সম্ভব। নিয়মিত গ্রিন টি পান করলেও আস্তে আস্তে দাঁতের হলদে ভাব দূর হয়। কারণ গ্রীন টিতে রয়েছে এন্টি এসিডিক উপাদান যা দাতের উপর পড়ে থাকা হলদে আবরণ দূর করে।
৯। লেবু
লেবুর রস ও ব্রেকিং সোডা একসাথে মিশিয়ে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের হলদে ভাব দূর করার পাশাপাশি দাঁত কে ঝকঝকে চকচকে উজ্জ্বল করে তোলে। কারণ এতে রয়েছে এসিটিক উপাদান যা যেকোনো ধরনের দাগ দুর করতে সাহায্য করে।
১০। মাশরুম
দাঁতের হলদে ভাব দূর করার অন্যতম কার্যকরী উপাদান হতে পারে মাশরুম। কারণ মাশরুমে রয়েছে পলিসেকারাইট ব্যাকটেরিয়া এবং ডেন্টাল ব্ল্যাক বিরোধী উপাদান।
১১। পোস্ট্রবেরি
প্রথমে পরিমাণ মতো বড় আকারের হলে একটি এবং ছোট আকারের হলে দুইটি স্ট্রবেরি নিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। এই পেস্ট দিয়ে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের উপরে পড়া হলদে কালচে ভাব আস্তে আস্তে দূর হয়ে যায়। কারণ এতে রয়েছে অ্যাসিটিক উপাদান ব্লিসিং এজেন্ট যা দাতের হলদে ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
১২। এন্টিভেটেড কাঠ কয়লা
নামটা হয়তোবা অনেকেই শুনেননি আবার শুনলেও অবাক হচ্ছেন এটা কিভাবে দাঁতের দাগ দূর করতে পারে। কিন্তু আপনি শুনলে অবাক হবেন যে এটি দাঁতের হলদে ভাব দূর করতে একটি দুর্দান্ত উপাদান। এই উপাদানটি ক্ষেপণাস্ত্রের মত কাজ করে। ধূমপান অথবা অতিরিক্ত চা কফি খেয়ে দাঁতের উপর ভাগে যে হলদে আবরণ পড়ে সেই আবেদনকে শোষণ করতে এক্টিভেটেড কাঠ কয়লা খুবই পারদর্শী।
এটি খুবই সহজলভ্য এবং যেকোনো আয়ুর্বেদিক দোকানে গেলে পেয়ে যাবেন। ক্যালসিয়াম এবং অক্সিজেনের সাথে কাঠ কয়লা প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি করা হয় এক্টিভেটেড কাঠ কয়লা। আমরা যেমন টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করি তেমনি এক্টিভেটেড কার্ড কয়লা দিয়ে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করলে যেকোনো ধরনের হলদে ভাব দূর হয়ে যায়।
১৩। আপেল সিডার ভিনেগার
আপেল সিডার ভিনেগারের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে আমরা জানি (যেমন এটির এন্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে) কিন্তু এটি যে দাঁত সাদা করতে পারে এটি সম্পর্কে হয়তো অনেকেই অবগত নয়। এটি পরিমাণ মতো ব্রাশের সঙ্গে নিয়ে দাঁত ব্রাশ করতে পারেন এবং দাঁত ব্রাশ করার পর এই ভিনেগার দিয়ে কুলকুচি করলে দাঁতের মাড়ির ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং নির্মল শ্বাস নিতে সাহায্য করে।
১৪। হলুদের গুঁড়া
দাঁতকে সাদা করতে হলুদের গুড়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কারণ হলুদে রয়েছে এন্টি ইনফ্লামেটরি এবং আন্টি মাইক্রো বিয়াল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। ফলে এটি দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এক টেবিল চামচ হলুদের গুড়া হাতের আঙ্গুল দিয়ে দাঁতে ঘষতে হবে এবং পরে দাত ব্রাশ করে দিতে হবে। এতে দাঁতের দাগ দূর করার পাশাপাশি তাৎক্ষণিকভাবে দাঁতকে সাদা করে তোলে।
১৫। কমলালেবুর খোসা
কমলার খোসা দাঁতের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কমলার খোসার ভেতরের অংশটা দিয়ে দাঁত ঘষতে হবে তাহলে দাঁতের উপরিভাগের হলদে আবরণ দূর করার পাশাপাশি দাতকে ঝকঝকে উজ্জ্বল করে তোলে।
কারণ কমলার খোসার সাদা অংশে বা অ্যালবেডোতে লেমুনিন থাকে। যেটা হচ্ছে ন্যাচারাল সলভেন্ট কিলার এটা বিভিন্ন প্রকার বাণিজ্যিক দাঁত সাদা কারক বিভিন্ন প্রোডাক্টে ব্যবহার করা হয়। কমলার মাংসল অংশের মতো খোসাতে অ্যাসিটিক উপাদান থাকে না তাই এটা ব্যবহার করা নিরাপদ।
দাঁতের কালো দাগ দূর করার উপায়
আমাদের মধ্যে অনেকেরই বিভিন্ন কারণে দাঁতে কালো দাগ পড়ে থাকে। তাই অনেকেরই প্রশ্ন থাকে কিভাবে এ কালো দাগ দূর করা যায়। প্রিয় পাঠক, এখন আমরা দাঁতের কালো দাগ দূর করার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে জানব।
দাঁতে যদি কালো হলদে দাগ থাকে। আমরা যতই সাজগোজ করি ও নামিদামি পোশাক পরি তাতেও ভালো লাগবে না। কারণ দাঁত হচ্ছে মুখের সৌন্দর্যের অন্যতম একটি উপাদান। তাই দাঁত সাদা ঝকঝকে না থাকলে মন খুলে হাসাও যায় না। এবং বিভিন্ন সময় লোকসমাজে অস্বস্তিকর পরিবেশের মধ্যে পড়তে হয়। পুরুষ বা মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই বিষয়টা একই রকম।
আপনি যদি নিয়মিত ধূমপান করেন ও পান খেয়ে থাকেন এবং মসলা জাতীয় খাবার গ্রহণ করে থাকেন তাহলে আপনার দাঁতে কালো হলুদ বর্ণের দাগ দেখা দিতে পারে। তাই চেষ্টা করবেন এগুলো পরিহার করার। দাঁতের কালো দাগ দূর করতে লেবুর রস খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
এছাড়াও লেবুর খোসা ফেলে না দিয়ে ভিতরের অংশ দাঁতের কালো দাগের উপর ঘষলে দাগ আস্তে আস্তে দূর হয়ে যায়। কারণ এতে রয়েছে এসিডিটি উপাদান। এছাড়াও আপনি নিয়মিত দারুচিনি ফফচিবিয়ে খেতে পারেন এতে মুখের দুর্গন্ধ দূর করার পাশাপাশি দাঁতের মাড়ি শক্ত মজবুত করে।
কারণ এই দারুচিনিতে রয়েছে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল গুণ যার জীবানু ধ্বংসের পাশাপাশি দাঁতের ব্যথা কমাতেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও দারুচিনি পাউডার মধুর সঙ্গে মিশিয়ে দাঁতে ব্যবহার করলেও দাঁত ভালো থাকে।
এছাড়া তেজপাতার পাউডারের সাথে কয়েকটা লেবুর রস মিশিয়ে দাঁত ব্রাশ করলেও দাঁতের কালো দাগ দূর করে এবং দাত ঝকঝকে উজ্জ্বল করে তোলে। এবং পেয়ারার পাতা পেস্ট করে দাঁত মাজলেও দাঁতের গোড়া মজবুত হয়। এছাড়া তুলসী পাতা এবং মধু একসঙ্গে চিবিয়ে খেলেও মুখের দুর্গন্ধ দূর করার পাশাপাশি মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর করে দাঁত কে সুরক্ষিত রাখে।
প্রভাব
দাঁতের দাগ পরিষ্কার করে দাঁত কে ফ্রেশ রাখে এবং দাঁত সাদা করার পাশাপাশি দাঁতের এনামেল কে শক্তিশালী করে এবং দাঁতের ক্ষয়রোধ রোধ করে।
দাঁতের পাথর জমে কেন
দাঁতে পাথর জমার অন্যতম কারণ হলো অসচেতনতা বা অবহেলা অযত্ন। নিয়মিতভাবে যদি দাঁত ব্রাশ না করি এবং মুখের ভেতরটা পরিষ্কার না করি তাহলে এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। মুখের ভিতরে জমে থাকা জীবাণু খাদ্য কণা ও তার মধ্যে তাকে প্রোটিন একসঙ্গে মিশে তৈরি হয় প্লাক।
এই প্লাক যদি ঠিকমত পরিষ্কার করা না হয় তাহলে এটি মিনারেলস এর সঙ্গে মিশে স্তরের উপর স্তর পড়ে স্তুপ তৈরি হতে থাকে এবং এটি শক্ত হয়ে যায়।
কাদের এ ধরনের সমস্যা বেশি হয়ে থাকে
দাঁতে পাথর সবার একই রকম হয় না। দাঁতের পাথর হওয়ার সমস্যা কারো কারো ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায় আবার কারও কর কম হয়ে থাকে। বিশেষ করে যারা মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশি গ্রহণ করে থাকে এছাড়াও বিভিন্ন ধূমপান বিভিন্ন তামাক জাতীয় পণ্য ব্যবহার করে থাকে তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি বেশি হয়ে থাকে। এছাড়াও আয়রনযুক্ত পানি নিয়মিত পান করলেও এ সমস্যা হতে পারে। ময়দার তৈরি খাবার বেশি খেলে দাঁতে পাথর জমতে পারে।
দাঁতের পাথর দূর করার উপায়
এখন আমরা জানবো দাঁতের পাথর দূর করার বিভিন্ন উপায় বা পদ্ধতি।
- আমাদেরকে নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার রাখতে হবে অন্ততপক্ষে দিনে দুইবার রাতে খাবার গ্রহণের পরে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করতে হবে।
- দাঁতের ক্ষতি হয় এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। যেমন ধূমপান তামাকযাত দ্রব্য ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে।
- যেন তেন টুথপেস্ট বা ছাই দিয়ে দাত মাজলে এই সমস্যা হতে পারে। তাই লবণ যুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করতে হবে
- এক মাস পর পর টুথব্রাশ পরিবর্তন করতে হবে।
- কমপক্ষে ছয় মাস পর পর দাঁতের ডাক্তারের কাছে গিয়ে দাত পরিষ্কা করতে হবে।
- এবং নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। বিশেষ করে ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে
- দাতে যদি পাথর জমে তাহলে অবশ্যই একজন ডেন্টিস্ট এর কাছে গিয়ে দাঁত পরিষ্কার করতে হবে
এছাড়াও ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। যেমন ,লেবুর রস ও ব্রেকিং সোডার মিশ্রণ, স্ট্রবেরি পেস্ট, লবণ, নিম গাছের দাঁতন ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন।
লেখকের শেষ মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আজ আমি আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে দাতের হলুদ ভাব দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছি। যা ইতিমধ্যে হয়তোবা জেনে গেছেন।
আশা করি আমার এই পোষ্টটি পড়ে বাস্তব জীবনে কাজে লাগিয়ে উপকৃত হবেন। এবং আমার এই পোস্টটি সবার মধ্যে শেয়ার করে দেবেন। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ এতক্ষণ আমার সাথে থাকার জন্য। নতুন নতুন তথ্যবহুল এ ধরনের পোস্ট পেতে আমার এই সাইটি নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন।